বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত

গাংনীতে ওয়াজ মাহফিলে মেয়েদের উত্যক্তের জেরে হামলা, দুপক্ষের ৫ জন আহত

By মেহেরপুর নিউজ

December 03, 2016

মেহেরপুর নিউজ,০৩ ডিসেম্বর: মেহেরপুরের গাংনীতে ওয়াজ মাহফিল চলাকালে মেয়েদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করার জের ধরে উভয় পক্ষের মহিলাসহ ৫ জন আহত । এঘটনায় আহত ২ জনের বাড়ি ঘর ভংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার গাড়াডোব ঈদ গাঁ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, নাসির উদ্দীন ও তার মেয়ে আলেয়া খাতুন, নবীর উদ্দীন তার স্ত্রী শিরিনা খাতুন এবং অপর পক্ষের সাহাবুদ্দীনের ছেলে সবুজ। এসময় বাড়ি ঘরে হামলা দেখে নাসির উদ্দিনের স্ত্রী লাইলী খাতুন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। আহতদের গাংনী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে গাড়াডোব গ্রামের ঈদগাহপাড়ায় স্থানীয় জনতা ক্লাব ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে। ওয়াজ মাহফিলে অংশ নেওয়ার জন্য আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন ভিড় করতে থাকে। পাশাপাশি ওয়াজ মাহফিল সংলগ্ম এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিভিন্ন রকম মালামাল বিক্রি করার জন্য অস্থায়ী দোকান সাজায়। এর মধ্যে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলের পাশে চুরি মালার একটি দোকানে স্থানীয় মেয়েরা চুরি মালা ক্রয় করতে আসলে গাড়াডোব পুকুর পাড়ার সাহাবুদ্দীনের ছেলে সবুজ সহ তার সহযোগীরা মেয়েদের উত্যক্ত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায় মাহফিলের সেচ্ছাসেবক নাসিরউদ্দিনসহ কয়েতজন। এর জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে সবুজ তার পিতা সাহাবদ্দিনসহ এলাকার লোকজনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাসিরউদ্দিন ও তার ভাই নবিরুদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় তাদের হামলায় ৪ জন আহত হয়। খবর পেয়ে মেহেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, ধানখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহত নাসিরুদ্দিন জানান, সেচ্ছাসেবকদের সাথে সবুজ তর্কে লিপ্ত হলে তাকে সহ তার সহযোগীদের ধমক দিয়ে চলে যেতে বলি। পরে সবুজ ও তার পিতা সাহাবুদ্দীন সহ সহযোগীরা আমার বাড়িতে এসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ৪ জন কে আহত করে। ঘটনার সময় উপস্থিত ইউপি সদস্য গুলনাহার জানান, মাহফিলের পাশে গাড়াডোব এলাকার বিপ্লব হোসেন ও নয়নের সাথে সবুজের বির্তকের জের ধরে প্রথমে তারা সবুজ কে মারধর করে এবং ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে সবুজ ও তার পিতা সাহাবুদ্দীন ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত সবুজ জানান, আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ধর্মীয় সভা শুনতে যায়। পাশে চুরি-মালার দোকানে দাড়িয়ে থাকা বিপ্লব হোসেনের নিকট আত্মীয় এক স্কুল ছাত্রীকে কে বা কারা বাজে মন্তব্য করে। তখন নাসিরুদ্দিন ও বিপ্লব আমাকে সন্দেহ করে বেধড়ক মারপিট করে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।