বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত

গাংনীতে গৃহবধু ও যুবক নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ১৩ জন গ্রেপ্তার

By মেহেরপুর নিউজ

July 09, 2017

মেহেরপুর নিউজ,০৯ জুলাই: মেহেরপুরের গাংনীর করমদী গ্রামের গৃহবধু সিমা খাতুন ও আশরাফুল ইসলাম নামের এক যুবক কে নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে  সিমা খাতুনের পিতা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, ইউপি সদস্য আমানুল্লাহ, ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পরপরই পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য আমানুল্লাহ ও স্থানীয় কাজি সিহাব উদ্দীন সহ ১৩ জন গ্রেপ্তার করেছে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গৃহবধু সিমা খাতুন কে নির্যাতন করা হয়েছে এমন অভিযোগে তার পিতা নওয়াপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হযেছে। মামলার অন্য আসামীসহ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। সিমা খাতুনের পিতা নওয়াপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তার মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। মামলা করতে দেরি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্যাতনকারীদের চাপে মামলা করতে ভয় পেয়েছিলেন। এদিকে গৃহবধু সিমা খাতুন ও আশরাফুল ইসলামের নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। তবে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে কতিপয় ব্যক্তি এখনো নানাভাবে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। সাবেক ইউপি সদস্য দানিয়েল হোসেন জানান, ৩০ জুন শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে তার ভাতিজা একচোঁখ অন্ধ আশরাফুল ইসলাম করমদী মধ্যে পাড়ায় তার কয়েকজন বন্ধুদের সাথে বসে কথা বলছিলেন। এসময় কতিপয় যুবক তাকে ডেকে নিয়ে একই পাড়ার আলমগীর হোসেনের স্ত্রী সীমা খাতুনের ঘরে জোর পূর্বক তুলে দিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়। পরে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে আশরাফুল ইসলাম ও সিমা খাতুন কে মারধর করে রশি দিয়ে ঘরের মধ্যে বেধে রাখা হয়। ১লা জুলাই শনিবার সকালে সেখান থেকে তাদের সালিস বৈঠকে ডেকে নিয়ে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। সালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, ইউপি সদস্য আমানুল্লাহ, ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ, আওয়ামীলীগ নেতা মোশাররফ হোসেন ও জামাল উদ্দীন প্রমুখ। তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পলাতক থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।