আইন-আদালত

দাফনের সাড়ে ৫ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

By মেহেরপুর নিউজ

October 03, 2016

মেহেরপুর নিউজ, ০৩ অক্টোবর: আদালতের নির্দেশে দাফনের প্রায় সাড়ে ৫ মাস পর মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর কবরস্থান থেকে তোলা হল হাসানুজ্জামান মিলনের লাশ। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে পুলিশের সহযোগীতায় তার লাশ উত্তোলন করে দাঁত ও হাড়ের কিছু অংশের নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। সিআইডি’র পরিদর্শক হাসান ইমাম জানান, মেহেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মহিদুজ্জমানের নির্দেশে লাশের দাঁত ও হাড়ের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পেলে আসল হত্যাকারীদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে। পরিদর্শক হাসান ইমাম আরো জানান, সিআইডি সদর দপ্তরের ডিএনএ ল্যাবরেটরী থেকে পুর্নাঙ্গ প্রোফাইল তৈরি করার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুল ইসলামের কাছে নমুনা পাঠানোর জন্য চাহিদা দেয়। সে মোতাবেক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে লাশ উত্তোলণ করে নমুনা সংগ্রহের জন্য আবেদন জানালে আদালতের বিচারক লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে পত্র দেয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক একজন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করেন লাশ উত্তোলণের জন্য। জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল রাতে গাংনী ঝিনেরপুর পাড়া থেকে মিলনের রক্তমাখা মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন সকালে পুলিশ মোটরসাইকেল উদ্ধারের স্থানের কিছু দুর থেকে মিলনের লাশ উদ্ধার করে। লাশের ময়না তদন্ত শেষে ওইদিন শ্যামপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে মিলনের পিতা আব্দুল হামিদ স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমের কারণে খুন উল্লেখ করে নিজে বাদি হয়ে মিলনের স্ত্রী মানছুরা খাতুন, ভাইরা আব্দুর রশিদ, আব্দুর রশিদের স্ত্রী মাছনুয়ারা খাতুন এবং তার স্ত্রীর প্রেমিক মোজাম্মেল হককে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই মামলার সকল আসামীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে পুলিশে কাছে থেকে মামলাটি সিআইডতে হস্থান্তর করা হয়। সম্প্রতি মামলার দুই আসামী মিলনের ভাইরা আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী মাছনুয়ারা খাতুন আদালত থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করে। মামলার অপর দুই আসামী মিলনের স্ত্রী মানছুরা খাতুন ও তার প্রেমিক মোজাম্মেল হক বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।