বিশেষ প্রতিবেদন

৩২ হাজার টাকায় এক দিনের শিশু বিক্রি!

By মেহেরপুর নিউজ

August 26, 2012

মেহেরপুর নিউজ ২৪ ডট কম,২৬ আগষ্ট : মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের সাইদুর রহমানের পাষন্ড স্ত্রী শিরিনা খাতুন তার এক দিনের শিশু সন্তানকে ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়ে এক বর্বরতার উদাহরন সৃষ্টি করেছে। বিক্রিত অর্থ তার বর্তমান  স্বামী নিয়ে উধাও হয়েছে বলে জানা গেছে।এ ঘটনা  পুরো মেহেরপুর জেলায় টক অব দি টাউনে পরিনত হযেছে। এদিকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারে মেহেরপুর শহরসহ বিভিন্ন স্থানে সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। জানা যায়, মেহেরপুর  সদও উপজেলার আমঝুপি গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী শিরিনা খাতুন (৪৩) শুক্রবার মধ্যরাতে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। শনিবার সকালে সে তার পূর্ব পরিচিত এক মহিলা মেহেরপুর শহরের মুখার্জিপাড়ার আলাউদ্দিনের মেয়ে জুলেখার নিকট সন্তানটিকে ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তিনামা  স্বাক্ষর হয়। চুক্তি সম্পাদনের পরপরই শিরিনার বর্তমান  স্বামী সাইদুর রহমান ওই টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। বর্তমান  স্বামীর ঘরে শিরিনা খাতুনের দেড় বছরের আরো একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এমন সংবাদ পেয়ে মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকি আমঝুপি গ্রামে পুলিশ পাঠান এবং ঘটনার সত্যতা পান। শিরিনার প্রথম পক্ষের স্বামী চুয়াডাঙ্গা শহরের আব্দুল কুদ্দুসের ঔরসে জন্ম নেয়া ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। পুলিশ প্রথম পক্ষের ছেলে আব্দুল আলীম (১৪) ও মেয়ে শিলাকে (১৮) থানায় নেয়। তারা পুলিশকে জানায়, প্রায় দেড় মাস আগে জুলেখা খাতুনের সাথে তাদের মা শিরিনা খাতুনের পরিচয় হয়। মা নবাগত শিশুটিকে গতকাল শনিবার সকালে ৩০ হাজার টাকায় জুলেখার নিকট বিক্রি করে ও তার চিকিৎসা খরচ বাবদ আরো ২ হাজার টাকা আদায় করে। এদিকে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম ও সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক দল মেহেরপুর শহরসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে ক্রেতা জুলেখাকে গ্রেফতার ও নবাগত শিশুটিকে উদ্ধারে শনিবার রাতভর সাড়াশি অভিযান চালিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জুলেখাকে গ্রেফতার ও নবাগত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এদিকে মেহেরপুর শহরের মুখার্জিপাড়ার আলাউদ্দিনের মেয়ে জুলেখার সন্ধানে পুলিশ ও সাংবাদিকরা মুখার্জিপাড়ায় গেলে জানা যায়, জুলেখার প্রথম  স্বামী গাংনী উপজেলার বামুন্দী এলাকার মিজানুর রহমান। এর পরে সে ওই  স্বামীর ঘরে রয়েছে না অন্য কোথাও বিয়ে করেছে তা তারা জানেন না। তবে অনেকে ধারনা করছেন জুলেখা শিশু পাচারকারি দলের একজন সক্রিয় সদস্য হতে পারে।