মেহেরপুর নিউজ ২৪ ডট কম,২৮ ডিসেম্বর:
মেহেরপুর আন্ত:জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও বামুন্দী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান বেল্টু এবং বামুন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল আলিম হত্যা মামলার ২ নং আসামী সহ একাধিক মামলার আসামী দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ নেতা সালাম বাহিনীর প্রধান সালাম(২৭) এর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে পাঠিয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গাংনী থানা পুলিশের এস আই মিজানুর রহমান জানান,সালাম ভয়ংকর সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সালামের মাথায় সহ দেহের বিভিন্ন স্থানে ৪ টি গুলির চিন্থ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়,আজ শুক্রবার সকালে খলিশাকুন্ডি ব্রীজের নিচে মেহেরপুর সীমান্তের চটকতলা মাঠ নামক স্থানে গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয় মাঠে কাজ করতে আসা কৃষকরা। পরে গাংনী থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে বামুন্দী গ্রামের মহাসিনের ছেলে পুলিশ ও র্যাবের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী সালাম(২৭) এর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর মর্গে পাঠায়।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন,সালাম বেল্টু ও আলিম হত্যা মামলার আসামী। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে,আভ্যন্তরিণ কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষরা তাকে খুন করে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য,গাংনীর বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপি’র সহসভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল আলিমকে বিগত ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার সময় বামন্দী বাসষ্ট্যান্ডের অদুরে প্রধান সড়কের পাশে হাজী আব্দুল আলিমকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাত ৯ টার সময় বামন্দী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও মেহেরপুর বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক দেবীপুর গ্রামের সাইদুর রহমান বেল্টু কে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করে। এসব হত্যার পর সন্ত্রাসী ছালাম পলাতক জীবন যাবন করছিল। এরপর গত ২ ডিসেম্বর রাতে গুলিভর্তি ১ টি নাইম এমএম পিস্তল,১ টি ম্যাগজিন কয়েকটি ডাইরি,মোবাইলসহ তার স্ত্রী শিখা খাতুন দৌলতপুরের আড়িয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি থেকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬) এর হাতে র্যাবের আটক হয় । এরপর তার অপর তিন সহযোগী নিশিপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে সাগর (২৫), আবুল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৭) ও তেরাইল গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে সামিরুল ইসলাম কে একটি ভারতীয় পিস্তল,১ রাউন্ড গুলিসহ আটক করে র্যাব-৬ গাংনী ক্যাম্প।
এরপর থেকে র্যাব ও পুলিশ সন্ত্রাসী ছালাম ও তার অপর সঙ্গীদের খুজে বেড়াচ্ছিল। গ্রেফতারের ভয়ে ছালাম বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।