গাংনী প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সহড়াতলা সরকারি প্রাথমিক (স্কুল) বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবু আফফান শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই শিক্ষক স্কুল থেকে পালিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
এদিকে,অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবীতে এলাকায় তােলপাড় চলছে। অন্যদিকে,শ্লীতাহানির বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সহড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্লীতাহানির ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক আবু আফফান সহড়াতলা গ্রামের হাজী আব্দুস সামাদ মাস্টারের ছেলে।
শ্লীতাহানির শিকার ওই স্কুল ছাত্রী জানায়,আবু আফফান স্যার আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে আজে-বাজে কথা বলেন। পরে বিষয়টি আমার বাড়ির লোক-জনকে জানায়।
শ্লীতাহানির শিকার স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, আবু আফফান মাস্টার আমার মেয়েকে অশ্লীল কথাবার্তা বলে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত দিয়েছেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।ওই স্কুলের শিক্ষার্থী লিমা খাতুন জানায়, স্যার এসে আমার বান্ধবীর পিঠে হাত দিয়ে হাত বুলাচ্ছিল এবং আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। পরে আমার বান্ধবীর বাবাকে বিষয়টি জানাই। এসময় সুযােগ বুঝে আবু আফফান স্যার স্কুল থেকে পালিয়ে যান।
ওই স্কুলের ছাত্রী মিম জানায়,স্যার আমাদের আমার বান্ধবীকে একা পেয়ে মাঝে-মাঝে এমন আচরণ করে থাকেন ।
আবু আফফানের বাবা হাজী আব্দুস সামাদ মাস্টার জানান, আমার ছেলে সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এদিকে,এলাকাবাসি জানায়,শিক্ষক আফফান অপরাধ করার পর, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন জায়গায় দেন-দরবার করে বেড়াচ্ছেন। তার এমন কর্মকান্ডের সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার।
তেঁতুলবাড়ি ইউনিয়নের (৫নং ওয়ার্ড) সহড়াতলা গ্রামের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম লাটু জানান, আমি ঢাকাতে ছিলাম বিভিন্ন লোকজন আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছে আবু আফফান মাস্টার একটি ছাত্রীকে শ্লীতাহানি করেছেন। এনিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে অনেক মানুষের সমাগম ঘটেছিল ।
সহড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জুয়ারা খাতুন জানান, আমি অসুস্থ্যতার কারণে বেশ কয়েকদিন ছুটিতে আছি। তবে ঘটনাটি কতটুকু সত্য আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আবু আফফানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তাকে পাওয়া যায়নি।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান,এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে,আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।