সাহাজুল সাজু :
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশুর হাট কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরই কােরবানীর ঈদ। আর এই ঈদকে সামনে রেখে প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই হাটে আজ সােমবার ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভীড় চােখে পড়ার মতাে।
গাংনী উপজেলার বিভিন্ন খামারে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার বড় বড় খামার রয়েছে। অনেক কৃষক শখের বসে পারিবারিকভাবেই মহিষ পালন করেন। গাংনীতে বেশ কয়েকটি ছাগল ও ভেড়ার বাণিজ্যিক খামার থাকলেও পারিবারিক খামারেও ছাগল ও ভেড়া বেশি পালিত হচ্ছে। বসতবাড়িতে দু-একটি গরু পালন করছে অনেক পরিবার। সারা বছর গরু পালনের পর এখন এসেছে বিক্রির সময়। খামারিরা বামন্দী হাটে গরু তোলার পাশাপাশি নিজেদের খামারেও বিক্রি করছেন গবাদি পশু।
হাটে গরু কিনতে আসা ইসরাফিল হােসেন বলেন, দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলেন। ছুটিতে বাড়ি এসেছেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ করব বলে। হাটে এসে দেখেন গরু ও ছাগলের দাম অনেক বেশি। তারপরও কিনবেন। ছাগল ব্যবসায়ী জামাল হােসেন বলেন, বামন্দী বাজারে বড় ছাগলের চেয়ে মাঝারি ছাগলেন খুব চাহিদা। বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছাগল কিনে আনছেন। আর গ্রামের লোকজন প্রায় প্রতিটা বাড়িতে ছাগল লালন-পালন করে এবং কোরবানি উপলক্ষে বিক্রি করে। এবার ছাগলের দাম অনেক বেশি। গরু ব্যবসায়ী হােসেন আলী বলেন, এবার গরুর বাজারদর ভালো রয়েছে। হাটে পর্যাপ্ত গরু উঠেছে। গরুর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। আশপাশের বামন্দীর মতো বড় হাট আর নেই। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা আসেন এই বামন্দীর হাটে। ক্রেতাদের চাহিদা এবার মাঝারি গরুর।
গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মােতালেব আলী বলেন, গাংনী উপজেলায় কোরবানিযোগ্য যেসব পশু প্রস্তুত রয়েছে, তা গাংনীসহ জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতােমধ্যে এ উপজেলা থেকে গরু বিক্রির উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন হাটে গরু নেয়া নিয়েছে গরু মালিক ও ব্যবসায়ীরা।